সমুদ্র সৈকতে বিএমজেএ সিলেটের আনন্দ ভ্রমণ
১৭ সেপ্টে ২০২৫, ১০:৫৮ পূর্বাহ্ণ

রেজওয়ান আহমদ :: বিশ্বের বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত হচ্ছে বঙ্গোপসাগর, সমুদ্রের গর্জন দেখতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত ও বিদেশ থেকে পর্যটকরা ছুটে আসেন কক্সবাজার। সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের ভিড়ে উৎসবের আমেজ দেখা দেয়। কেউ আসেন পরিবার নিয়ে আবার অনেকেই আসেন বন্ধু-বান্ধব নিয়ে। তেমনি বাংলাদেশ মাল্টিমিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটির সদস্যদের মাঝেও সমুদ্র সৈকত দেখার সুযোগ হলো। এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে সদস্যদের নিয়ে একের পর এক আনন্দ ভ্রমণ করে যাচ্ছে, প্রথমে টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ এরপর কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ। এই দুটি পর্যটন স্পট ভ্রমণ করে সদস্যদের মনের আনন্দ যেন বেড়ে গেল। এই সংগঠনের সদস্যরা ১৪ জুন টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ করে আসার পর থেকে শুরু হয় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত যাওয়ার প্রস্তুতি। এক আনন্দের রেশ শেষ না হতেই আরেক আনন্দের সুযোগ সদস্যদের মাঝে শুরু হয়, এ নিয়ে সিনিয়র সদস্যদের সাথে একের পর এক আলোচনা চলতে থাকে। সিনিয়র সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রমে সবাইকে একসাথে বসে নিয়ে তারিখ নির্ধারণ করা হয় ১১ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার যাওয়ার।
আরিফ ও নুরুল ভাইয়ের নেতৃত্বে শুরু হয় প্রস্তুতি, সময় যত ঘনিয়ে আসছে ততই সদস্যদের মাঝে কক্সবাজার ভ্রমণ নিয়ে আলাপ আলোচনা হচ্ছে। সেপ্টেম্বর মাস শুরু হতেই সদস্যদের মাঝে ব্যস্ততা বেড়ে যায়। বিশেষ করে আরিফ, নুরুল, বাবর ও সোহেল ভাইয়ের অন্যান্য সদস্যদের চাইতে ব্যস্ততা বেশি বেড়ে যায়। কিভাবে এই ভ্রমণকে সুন্দর ও সফল করা যায় সেই বিষয় নিয়ে বারবার চলে আলাপ-আলোচনা কারণ এই উদ্যোগ তারাই নিয়েছিলেন।
কক্সবাজার যেতে হলে ট্রেনে বা বাসে যেতে হয়, ট্রেনে যেতে হলে আগে টিকিট করতে হয়। ১১ সেপ্টেম্বর যাওয়া তাই ট্রেনের টিকেট করতে হয় ১ সেপ্টেম্বর। ১ তারিখ সকাল ৮ টায় ট্রেনের টিকেট করার জন্য নুরুল ও সোহেল ভাই সকালে ছুটে যান রেলওয়ে স্টেশনে, দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে ২৮ টি টিকেট সংগ্রহ করেন তারা।
টিকেট হাতে পেয়ে ছবি তুলে সংগঠনের গ্রুপে দেন তারা টিকেট দেখে সদস্যদের মাঝে আনন্দ বেড়ে যায়, দুইদিন পর চট্টগ্রাম থেকে ফেরার জন্য আবারো সকাল বেলা গিয়ে টিকেট করেন তারা।
২ তারিখ আনন্দ ভ্রমণের জন্য সকল সদস্যদের জন্য টি শাট নেওয়া হয়, ৯ সেপ্টেম্বর ভ্রমণ উপলক্ষ্যে টি-শার্টের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর ব্যবসায়ী ঐক্য কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান রিপন। এসময় সকল সদস্যদের মাঝে টি-শার্ট বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ। সকল সদস্য টি-শার্ট নিয়ে বাসায় চলে যন। ১১ তারিখের আগ পর্যন্ত সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়েন। ৯ তারিখ সকল সদস্যকে বলা হয় ১১ তারিখ রাত ৮ টার মধ্যে সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে থাকার জন্য। কারণ রাত ১০ টায় ট্রেন যুগে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে যাত্রা, এর আগে কক্সবাজার ভ্রমণ উপলক্ষে আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠান আছে বলে সবাইকে ৮ টায় আসার জন্য বলা হয়। ১১ তারিখ রাত ৮ টায় এক এক করে সবাই টি-শার্ট পরে রেল স্টেশনে চলে আসেন। এরমধ্যে অতিথিরাও চলে আসেন শুরু হয় আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠান। নুরুল ভাইয়ের পরিচালনায় অতিথিরা বক্তব্য রাখেন। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোতোয়ালী থানা বিএনপির সদস্য সচিব সুয়েব আহমদ, বিমানবন্দর থানা বিএনপির সদস্য সচিব সৈয়দ সরোয়ার রেজা, সিলেট রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মো. নুরুল ইসলাম, মহানগর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক তারেক আহমদ খান, মহানগর ছাত্রদলের সদস্য নাজমুল ইসলাম, মোস্তাক আহমদ।
অনুষ্ঠান শেষে সবাই অতিথিদের সাথে ছবি তুলেন, এরই মধ্যে ট্রেন ছাড়ার সময় হয়ে যায়। এক এক করে এসোসিয়েশনের সিনিয়র সদস্য মো. রাজু আহমদ, ফয়সল আমিন, বেলায়েত হোসেন, আরাফাত চৌধুরী জাকি, আহবায়ক মোহিদ হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এ এইচ আরিফ, যুগ্ম আহবায়ক এম আর টুনু তালুকদার, এসোসিয়েশনের সদস্য মো. নুরুল ইসলাম, শাহীন আহমদ, রেজওয়ান আহমদ, বাবর জোয়ারদার, মাছুম আহমদ চৌধুরী, রুবেল আহমদ, জাহিদ উদ্দিন, সবুজ আহমদ, ফাহিম আহমদ, আকমল হোসেন সুমন, জয়রায় হিমেল , আব্দুল মাজিদ চৌধুরী), সুলেমান সুহেল, জাবেদ এমরান, আল-আমিন, কৃতিশ তালুকদার, ঈষা তালুকদার, এসোসিয়েশনের সদস্য আশিকুর রহমান রানা, আশরাফুল ইসলাম, অফিস সহকারী ফেরদৌস আহমদ ট্রেনের মধ্যে উঠে বসে পড়লেন।
শুরু হলো কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে যাত্রা। শুরু হলো আনন্দ, ট্রেন চলছে আর সদস্যদের মধ্যে কক্সবাজার নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। রাত ১১ টায় দেওয়া হলো নাস্তা, সবাই নাস্তা খাওয়ার পর একে অপরের সাথে গল্প করছে আর টেন দ্রুত গতিতে চলছে। নাস্তা খাওয়ার পর রাজু ভাই আমাকে কানে কানে বলছেন তোর ভাবি হালকা নাস্তা আমাকে দিয়েছে কিছু সময় পর তুই আর আমি খাইমুনে আমি, বললাম ঠিক আছে ভাই। ১ ঘন্টা পর রাজু ভাই ব্যাগ থেকে একটি বাটি বের করলেন, বাটির মুখ খোলার পর দেখি কয়েক জাতের পিঠা রয়েছে, কিন্তু আমরা যতজন সদস্য রয়েছি তা থেকে পিটা কম। সবাই মিলে ভাগাভাগি করে খেলাম। তারপর মুহিত ভাইয়ের পক্ষ থেকে সবাইকে খাওয়ানো হলো চা, ট্রেন চলছে আর সবাই আনন্দ করছে। রাত গভীর হলো অনেকেই ঘুমিয়ে পড়েছেন, আবার অনেকেই আড্ডা দিচ্ছেন। ট্রেন সকাল ৯ টায় গিয়ে থামল চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে। এক এক করে সবাই ট্রেইন থেকে নেমে বাসে গিয়ে উঠলাম কক্সবাজার যাওয়ার জন্য, সবাই গাড়িতে উঠার পর চালক গাড়ি ছাড়লেন। গাড়ি চলছে আর সবাই আনন্দ করছে, সড়কের দুই পাশের অপরূপ দৃশ্য দেখে সবাই মুগ্ধ। পায় ২ ঘন্টা পর নাস্তা খাওয়ার জন্য গাড়ি থামিয়ে বিরতি দেওয়া হল। নাস্তা খাওয়ার পর আবারো সবাই গাড়িতে উঠ বসলেন, চালক ছাড়লেন গাড়ি, ১ ঘন্টা পর জুম্মার নামাজ পড়ার জন্য চালক গাড়ি থামালেন, নামাজ শেষ করে আবারও সবাই গাড়িতে উঠে বসলেন। বিকাল ৩ টায় কক্সবাজারে গিয়ে পৌঁছলাম আমরা, গাড়ি থেকে নেমে সবাই বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের পাওয়ার হাউজ এর রেস্ট হাউজে গিয়ে উঠলাম। সবাই হাতমুখ ধুয়ে খাওয়া-দাওয়া সেরে নিলাম, এর মধ্যে আরিফ ভাই এসে বললেন খাবার শেষ হলে সমুদ্র সৈকতে যাওয়ার জন্য। সবাই মিলে সমুদ্র সৈকতে গেলাম। কেউ পানিতে নেমে লাফালাফি করছে আবার অনেকেই ঘুরাঘুরি করে দেখছেন সমুদ্রের দৃশ্য। দেখতে দেখতে সন্ধ্যা হয়ে গেল সবাই একসাথে রুমে চলে আসলাম। কিছু সময় বিশ্রাম করার পর রাতের খাবারের জন্য সবাইকে ডাকা হয়। একসাথে বসে সবাই খাওয়া-দাওয়া করলাম, তখন রাত ১১টা। ৭টি রুমে ৪ জন করে আমরা ২৮ জন ঘুমিয়ে পড়লাম। সকালে সবাই ঘুম থেকে উঠে একসাথে নাস্তা করলাম, নাস্তা শেষ করে মহেশখালি যাওয়ার জন্য রওনা দিলাম আমরা। মহেশখালী যেতে হলে স্পোর্টবোট দিয়ে যেতে হয়, তাই অনেকেই যায়নি ভয়ে। আমরা ১১ জন দুটি স্প্রিডবোর্ড দিয়ে রওয়ানা হলাম। স্প্রিডবোর্ড পানির ঢেউয়ের মধ্যে দিয়ে দ্রুত গতিতে চলছে আর পানির ঢেউ দেখে মনের মধ্যে ভয় করছে। প্রায় বিশ মিনিট পর গিয়ে পৌঁছলাম মহেশখালী, চারপাশে পানি তার মধ্যে এই মহেশখালী দ্বীপ। সাগরের পানি দেখে ভয় পেলেও আনন্দ পেয়েছে সবাই। কিছু সময় এই এলাকার বিভিন্ন স্থাপনা দেখে আবারো রওয়ানা দিলাম কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে, বিকেলে সবাই মিলে সমুদ্র সৈকতে গিয়ে নামলাম পানিতে। পানিতে সবাই লাফালাফি ও আনন্দ করতে করতে সন্ধ্যা হয়ে গেল। রুমে গিয়ে সবাই গোসল করে রাতের খাবার খাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিলাম, খাবার শেষ করে কয়েকজন সাগর পাড়ে গিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত গান-বাজনা নিয়ে মেতে উঠলো, এমন আনন্দ আগে আর হয়নি। সবাই মিলে আনন্দ করার মজাই আলাদা, পরের দিন কক্সবাজার থেকে টেকনাফের উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য সকালবেলায় ৩টি গাড়িতে চরে রওয়ানা দিলাম। গাড়ি চলছে আর সবাই আনন্দ করছে। সাগরের পাড় দিয়ে সড়ক হওয়ায় সাগরের উত্তাল ঢেউ দেখে মন জুড়িয়ে যায়, কারণ এমন দৃশ্য সাগর ছাড়া দেখা যায় না, গাড়ি চলছে আর গানের তালে-তালে সবাই আনন্দ করছে, প্রায় ৩ ঘণ্টা পর টেকনাফে গিয়ে পৌঁছলাম আমরা। গাড়ি থেকে সবাই নেমে সাগরের পানিতে গিয়ে নামলেন। সবাই মিলে ছবি তোলা হলো, ১ ঘন্টা এভাবে আনন্দ করার পর আবারো কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম। পথিমধ্যে গাড়ি থামিয়ে বিভিন্ন পর্যটন স্পট দেখে কক্সবাজারে এসে পৌঁছলাম সন্ধ্যায়। পরে কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে বিএমজেএ এর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় কক্সবাজারের সাংবাদিকদের আপ্রায়ণে আমরা মুগ্ধ হয়েছি। রুমে এসে রাতে খাওয়া-দাওয়ার পর কেউ ঘুমিয়ে পড়লেন আবার কেউ সমুদ্র পাড়ে গিয়ে গান-বাজনা নিয়ে মেতে উঠলেন, আনন্দ যেন শেষ হচ্ছে না।
১৫ সেপ্টেম্বর সিলেটের উদ্দেশ্যে যাত্রা উপলক্ষে পরিবারের সদস্যদের জন্য যার যার মত করে কেনাকাটা করা হয়, ১৫ সেপ্টেম্বর সকালে ঘুম থেকে উঠে অনেকেই শেষমেষ সমুদ্রের পানিতে লাফালাফি করে আনন্দ করে। দুপুর বারোটায় গাড়ি এসে হাজির আমাদের নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার জন্য। সবাই রুম ছেড়ে গাড়িতে উঠে বসলেন, শুরু হলো চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে যাত্রা। ৫ ঘন্টা গাড়ি যাত্রা করার পর কর্ণফুলী এলাকায় গিয়ে সবাই একসাথে মিলে খাওয়া-দাওয়া করলাম। তারপর কর্ণফুলী টানেল দিয়ে পতেঙ্গা গিয়ে পৌঁছলাম। কর্ণফুলী টানেল দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি পতেঙ্গা এলাকাও সুন্দর, কারণ এই পতেঙ্গা এলাকায় রয়েছে সমুদ্র বন্দর। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বড় বড় জাহাজ দিয়ে মালামাল আনা নেওয়া হয় এই এলাকায়। সাগরের মধ্যে সারিবদ্ধ করে জাহাজ রাখা হয়, তাই দেখতে অপরূপ সুন্দর লাগে।
২ ঘন্টা পর পতেঙ্গা থেকে রেলওয়ে স্টেশনের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু হয়, ফ্লাইওভারের উপর দিয়ে গাড়ি চলছে আর সবাই মিলে আনন্দ করছে, দেখতে দেখতে রেলওয়ে স্টেশনে এসে পৌঁছলাম রাত তকন ৮ টা বাজে। রাত ১০ টায় ট্রেন সিলেটের উদ্দেশ্যে রওনা হবে, স্টেশনের ট্রেন দাঁড় করানো, সবাই এক এক করে ট্রেনে উঠে বসে পড়লাম। রাত ১০ টায় ট্রেন ছাড়লেন চালক, শুরু হলো সিলেটের উদ্দেশ্যে যাত্রা। ট্রেন তার আপন গতিতে চলছে। এই ভ্রমণের শেষ আনন্দটা যেন স্মৃতি হয়ে থাকে তাই সবাই মিলে শুরু করলো গান, যারা সারাদিন কলম দিয়ে সংবাদ ও ছবি তুলে অন্যের সংবাদ প্রকাশ করে তারা হয়ে উঠলেন শিল্পী। মুহিত ভাইয়ের কন্ঠে শুরু হলো গান, ট্রেন চলছে আর একের পর এক গান হচ্ছে। একজনের গান শেষ হলে আরেকজন সুর তুলছে, ট্রেনের মধ্যে জমে উঠল ভ্রমণের আনন্দ। সাংবাদিকদের এমন আনন্দ দেখে পাশের যাত্রীরাও হাততালি দিচ্ছেন, এভাবেই সারারাত চলল বাংলাদেশ মাল্টিমিডিয়ার জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটির সদস্যদের আনন্দ। সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে সকাল ৭ টায় থামল ট্রেন, তার সাথে থামল কক্সবাজার ভ্রমণের সবার আনন্দ। এক এক করে রেলওয়ে স্টেশন থেকে বিদায় নিলেন সবাই, এমন আনন্দ সবার জীবনে স্মৃতি হয়ে থাকবে যতদিন বেঁচে থাকবেন সবাই।