বিএমজেএ সিলেটের সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ; খাদিমপাড়ায় জাল দলিল তৈরি করে জমি দখল
০৩ নভে ২০২৫, ০৩:৪০ অপরাহ্ণ
                                 
                              সিলেটে জাল দলিলের মাধ্যমে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে সিলেটের লামাবাজার শেখপাড়া এলাকার ছায়াতরু ৩৯ এর গৌছুল হোসেন কোরেশীর ছেলে মোসাদ্দেক কোরেশী (শামীম)-এর বিরুদ্ধে ।
গতকাল সোমবার (৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ মাল্টিমিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন (বিএমজেএ) সিলেট বিভাগীয় কমিটির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন সিলেটের শাহপরাণ (রহ.) বাহুবল এলাকার মো. শাহজাহান ওমর।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ০৪ আগস্ট ২০২৫ তারিখে, যখন অভিযোগকারী দেখতে পান তাঁর বিরুদ্ধে মাননীয় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ২য় আদালতে জাল দলিল দিয়ে মামলা নম্বর ৫০/২৫ দায়ের করে খাদিম টি গার্ডেন মৌজার ১১১০, ১১১১, ১১১২, ১১১৩ ও ১১১৪ নম্বর দাগের ভূমি অবৈধভাবে দাবী করে শামীম। মামলার দলিল নং ৬৯১০/০৪ মোছাদ্দেক হোসেন কোরেশী (শামীম) মরহুম ওয়াছির আলীর ছেলে শহিদুর রহমানের থেকে খরিদ করেছেন মর্মে আদালতে দাবী করেন। বাস্তবে ভূমি রেজিঃ অফিস থেকে জানা যায় দলিলটি কুমার পাড়ার মৃত হাছন আলীর ছেলে নূরু মিয়ার ক্রয়কৃত যাহা খাদিম পাড়ার মোঃ মকদ্দছ আলীর ছেলে মোঃ কামাল আলীর বিক্রিত ও দলিলটি বহর মৌজার জায়গা সংক্রান্ত।
এ বিষয়ে সিলেট সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) গত ১৯ অক্টোবর ২০২৫ তারিখের স্মারক নং ৩১.৪৬.৯১৬২.০০.৪৮.০০১.২৫.১৮৭১ এ জাল দলিল সম্পর্কে আদালতে প্রতিবেদন পেশ করেন ও মোছাদ্দেক হোসেন কোরেশী শামীমের দাবীকৃত ভূমি খাদিম টি এস্টেটের ইজারাকৃত ভূমি বলে অবহিত করেন। অপর দিকে আদালতের নির্দেশে গত ২০/০৯/২০২৫ইং তারিখে শাহ পরান (রঃ) থানার প্রতিবেদন পেশ করা হলে বাদী শামিমকে তার দাগের ভূমি দেখাতে বললে সে তার মামলায় দাবীকৃত খাদিম টি গার্ডেনের ভূমি না দেখিয়ে দেবপুর মৌজার ১০১ নং দাগের ভূমি চিহ্নিত করে বলে অভিযোগ রহিয়াছে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সিলেট জেলা প্রশাসককে জাল জালিয়াতির বিষয়টি অবহিত করেন।
এ ব্যাপারে ভূক্তভূগীদের আইনজীবি কাছ থেকে জানা যায় জাল দলিলের ব্যাপারে আদালত ফৌজদারী কাযবিধি ১৯৫ ধারায় বাদী হয়ে জালিয়াতকারীর বিরুদ্ধে মামলা করার বিধান রয়েছে। অপরদিকে এলাকায় কিছু মানুষদের ভূয়া কাগজাদি দিয়ে জমি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সংঘবদ্ধ বাহিনী গড়ার অভিযোগ রয়েছে জাল শামীম ও তার কেয়ার টেকার আব্দুছ ছত্তারের বিরুদ্ধে।